আরিফ হোসেন নিশির
প্রেম – অর্থনীতি, প্রেমিক – প্রেমিকা
মানব দর্শনের জীবন আর বেঁচে থাকার
গতি প্রকৃতি আরাধ্য প্রাপ্তি,
আর আমি বলি সম্পত্তি।
আর প্রেমের অর্থনীতির হিসেব নেই।
কম্পিউটরের কি বোর্ডের সাথে একা সে যেন শব্দ করে। খানিক বিরক্তি থাকলে পাশ ফিরে দেখা কঠিন
কারণ আমার শরীরের অনেক ইতিহাস !
সে সব অতীতই যেন আমাকে তিরস্কার করে।
বলে শিখিসনি স্বপ্নরাঙ্গা ঐতিহ্য আর ঐশ্বর্য্যময়
পুর্বপুরুষদের কাছ থেকে ?
আমি চাঁদের মতো বাঁকা চাহুনী নিয়ে
নিজেকে তিরস্কার করি কখনও কখনও সংকিত হয়।
তাই ভাবি তোমার আদরের ভয়ে
কখন যে অংক দেবের অর্থনীতিকে হারিয়ে ফেলি।
লেখা ছেড়ে দৌড়ে ছুটে যায় ড্রইং রুমে, তোমাকে দেখার জন্য !
অথচ কি আশ্চর্য্য যে তোমাকে দেখার ব্যাকূলতায় আছি ছুটি,
সেই তুমি কিনা স্যুটেড বুটেড বর্তমান বাবু সেজে ভীশন ব্যস্ত!
একটু ও সময় নেই তোমার আমার জন্য !
কত কত ভয়ঙ্কর সব তথ্য নিয়ে তুমি হাজির।
এসব বুঝে উঠবার আগেই যদি তুমি
তোমার সাহসী বুকে আমাকে জড়িয়ে ধরতে উফ —-
যদি তোমার গোলাপী ঠোটে আমাকে চুমো দিতে !
গভীর রাত তবুও বলতে এখনই চলো বাইরে যাবো ঘুরতে !
কি ভালো যে লাগতো আহ ভাবতে দু`চোখ জলে ভরে উঠছে।
বলতে প্রিয় কবি অমিতাভ আর গুন`দার মিশেলের মতো
” এইখানে হাত রাখো
টের পাচ্ছো আমার অস্তীত্ব পাচ্ছো না !
এই বার হাত দাও
হা হা হু হু না না ওটা নয় ওটা চুল
ওখানেই ঐ তো ওটা আমার আঙ্গুল!
ওটা মহাকারিগর দয়ার সাগর নিপুন শিল্পীর মাটির ভাস্বর্য!”
আর আমার বুকের ভেতরের ক্ষতটা কেমন জানো ?
” মেহেদী পাতা দেখেছো
ওর বাইরেটা গাঢ় সবুজ ভেতরটা টক টকে লাল !
ঠিক ওরকম আমার বুকের ভেতরের ক্ষত।”
ভয় পেয়ো না আমার এ কষ্টের জন্য
তোমাদের কাউকে দায়ী করবো না আমি।
থাকবো অপেক্ষায় হোক না সে অপেক্ষা দীর্ঘ।
পেড়িয়ে যাক
এক দশক, এক যুগ,
তিন দশক তিন যুগ কিংবা তারও বেশি ।
কিছুই যায় আসে না আমার
কারণ সব কিছুই ক্ষনস্থায়ী।
জানি একদিন ভাঙ্গবে কোলাহল থামবে ঘোরের এই পৃথিবী।
আমি আমৃত্যু থাকবো তোমার অপেক্ষায়।
গাড়ি-বাড়ি, ব্যাংক-ব্যালেন্স, প্রতিপত্তি- আত্বীয়, বন্ধু প্রিয়জন,
সব ভুলে দুর্বার গতিতে ছুটে চলা সুপার হিরো তুমি
নিমেষেই সুপার জিরো নয়
সুপার মাইনাস হয়ে যাওয়া আমার প্রিয়তম তুমি!
আবার ফিরবে আপন ঠিকানায় আমাদের সুখ নিকেতনে।
আমার বাতিঘর হয়েই থাকবে প্রিয়তম তুমি।
আজকের কাগজ, চ্যানেল আই আর এটিএন বাংলার জন্য
২৩ বছর ব্যয় করে প্রাপ্তি শুন্য হলেও তুমি পরিপুর্ণ মানুষ।
যদিও জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় গুলো ওদের জন্য বিসোর্জন দেয়া তবে তা হলো আত্নত্যাগের ইতিহাস !
আমি বলি বঙ্গবন্ধু যেমন ২৩ বছরের নির্যাতন ভেঙ্গে বাংলাদেশ ছিনিয়ে এনেছিলেন।
সেই ইতিহাস বুকে লালন করে
তোমার আবেগ আর ভালোবাসার প্রিয় প্রতিষ্ঠান
এবিসিএল প্লাসে ফিরবে আবার তুমি।
এ প্রতিষ্ঠানের পত্রিকা চলমান দেশ, মুক্ত বাংলা আর সোনার মানুষ সোনার দেশ গড়ার কারিগর মুক্তিযোদ্ধা বাবা মনসুর আলীর স্বপ্ন এবিসি টেলিভিশন নিয়েই খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা মিডিয়া হাউজ এবিসিএল প্লাস নামের ডিঙ্গি নৌকার হাল ধরবে।
তুমিই আবার ৩০ লাখ শহীদ আর ষোল কোটি মানুষের ভাগ্য দেবতা জননেত্রী শেখ হাসিনার ন্বপ্ন বাস্তবায়নের ক্ষুদ্র মাঝি হবে।
তারপর আবার জ্বলে উঠবে তোমার ভেতরের আগুন।
ছুটবে দুরন্ত দুর্বার গতিতে ছিনিয়ে আনবে
৩০ লাখ আর পনেরো কোটির ত্বত্ত , স্বত্বর হিসেবের অর্থনীতি।
ছিনিয়ে আনবে অন্ন, শিক্ষা, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থানের মৌলিক অধিকার আর অর্থনৈতিক স্বাধীনতার চুক্তি মুক্তি আরো কত কি !
কথা ছিল সব হয়ে যাবে
৭ মার্চ এমনই বলেছিলেন জাতির পিতা।
কিন্তু তারপরও অপেক্ষা ৯ মাস অত:পর মিলেছে স্বাধীনতা।
সে তো অতীত ঐশ্বর্য্য আর ঐতিহ্যের কথা।
কিন্তু আমাদের বর্তমানে ঘন্টা-দিন-সপ্তাহ এভাবে মাস বছর পেরুলেও,
সব ওলট পালট হবার আর সুযোগ নেই চুক্তি মুক্তির সুফল আসতেই হবে।
কারণ ৫০ পেড়িয়ে এসে ফের ফের খেলার আর উপায় নেই
জীবনের গতি পথ বন্ধ হবার বদলে নেবার সুযোগ নেই।
চিৎকার করে বাঁচার ভীশন আকুতি নয় ছিনিয়ে আনতে হবে অধিকার ।
হয় তো গুলশানের হলি আর্টিজানের পাশের গুলফিসার মনবাগানের পিএবিএক্সটা বার বার বেঁজে ওঠবে।
ওপাশে দাঁড়োয়ান নুর ইসলাম, মান্নান আর সাফায়েত কিংবা আতিকের কন্ঠস্বর ভেসে উঠবে।
অনুমতি মিলতেই বাঁজবে কলিং বেল।
দরজা খুলতেই প্রিয় শাকিল ভাইয়ের প্রিয়তমার মতো হতবাক হই আমি ,
একি সফেদ পাজামা পাঞ্জাবী না কাফনে মুড়ানো কেন তুমি ?
এও কি হতে পারে কখনও কোন দিন ?
ভাবতেই ডুকরে কাঁদে মন, হদয়ে জাগে শিহরন
তাহলে কি সব কিছুই থাকবে অপ্রাপ্তি ?
তবে কি আমি স্বপ্ন দেখছি ? আমার প্রেম শুধুই স্বপ্ন তুমি ?
এমন হোক কখনই চাই না ভাবিনি আমি ভাবতেও পারি না।
তারপরও রাতের চাদরে মুখ ঢেকে অনেক কাঁদবো আমি।
#লেখার স্থান : এবিসি টেলিভিশন
ভ্রাম্যমান স্টুডিও।
# লেখার তারিখ : ২৭ মার্চ ২০২২