লেখক : আরিফ হোসেন নিশির
অমিতাভ হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিল । দেখছিল জটলা। কেন জটলা বুঝতে পারছিল না । হাসপাতাল তার একটুও ভালো লাগে না দম বন্ধ হয়ে আসে। ফাইভ স্টার সুপার স্টার কিংবা সালাদিয়া সে যে হাসপাতাল ই হোক। জামান ভাইয়ের বউ এর চিকিৎসা চলছে কুষ্টিয়া মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে তাই আসা। অমিতাভ`র খুবই প্রিয়জন ওনাকে দেখতে হবে । কিন্তু কত নম্বর কেবিন কিংবা ওয়ার্ড মনে নেই তাই কপাল চুলকে ভাবছিল। একজন পরিচিত নারীকে দেখলো ওর দিকেই আসছে। মনে হলো যেন চেনা । তারপর তিনি শুধু বললো আসুন আমার সাথে অমিতাভ কোন কথা না বলে তাকে অনুসরন করতে থাকলো। আরে উনিই তো জামান ভাবী ডাকবে না কি ? মনে মনে ভাবলো ! তিন তলা সিঁড়ি ভেঙ্গে উঠতে বাম দিকে দেখলো জামান ভাই দাঁড়ানো । হাত এগিয়ে দিতেই জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললেন জামান ভাই । বললো তোমার ভাবিকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে।
তারপর কাচের দরজার ফাক গলিয়ে চমকে উঠলো কি আশ্চর্য মানুষের জীবন মেশিনের সাপোর্টের মানুষটাই না কিছুক্ষন আগে ভাবতে না ভাবতেই নিচের ওই জটলাটা উপরে উঠে এসেছে। জামান সাহেবের মেয়ে আর জামাই সালা ও তার বউ। সবার একই কথা কি দরকার আত্নার কষ্ট দিয়ে। তাছাড়া টাকা পয়সারও তো ব্যাপার তাই না ।
নিরবে চোখ মুছলো অমিতাভ । জামান সাহেব তাকে ছেড়ে দিয়ে বারান্দায় বসে পড়লো ।
——
অমিতাভ দেখলো যে মহিলা তাকে এগিয়ে এনেছিল তিনি দুরে দাঁড়িয়ে আরষ্টের মতো সে । আসতে আসতে কাছে ডাকলো অমিতাভ বেশ কাছাকাছি আসতেই উনি কথা বলে উঠলেন।
সরাসরি বললেন : অমিতাভ দেখ মেয়েটাকে কোলে পিঠে মানুষ করলাম ওরা আমাকে আর পৃথিবীতে রাখতে চায় না । কি আশ্চর্য অমিতাভ চমকে উঠলো !
জামান ভাবী কি যেন নাম ভাবতে ভাবতে ও উচ্চারণ করলো মনে পড়েছে মেঘলা ভাবী ।
মেঘলা আবার কথা বলছে কি আশ্চর্য এটা কি সম্ভব ? নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করলো তাকালো জামান ভাই এর দিকে ।
অদিকে মেঘলা ভাবী বলছে : আমি আরো একটু থাকতে চায় এই পৃথিবীতে ! আমার জীবনটা আমেরিকা থেকে আসুক ওকে দেখে যেতে চায় ! কিন্তু ওরা দেবে না । তোমার জামান ভাইকে বলো না ? তোমার কথা উনি শুনবেন আমার স্বার্থপর ভাই-বোন, মেয়ে-জামাই শুনবে না । (চ্লবে )
(প্রথম প্রকাশ : চলমান দেশ অন লাইনে ( পুরোটা পড়ুন চলমান দেশের পাতায়)
পর্ব -১ ( ১৪ এপ্রিল ২০২০))
প্রথম পর্ব প্রকাশ দৈনিক মুক্ত বাংলায় পড়ুন ১৫ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ।